খেজুর খেলে কী কী উপকার

সারাদিন রোজা রাখার পর আমরা খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করি আমরা। রমজানে ইফতার করা, মুমিন মুসলিমদের জন্য আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত ও খেজুর খেয়ে ইফতার করা সুন্নত। তাই রমজানে খেজুরের কদর বেড়ে যায়। খেজুর না থাকলে আমাদের ইফতার যেন পরিপূর্ণ হয় না। বহু আগে থেকেই সুপরিচিত ও সুমিষ্ট এই ফলটির চাষাবাদ হয়ে আসছে মরুপ্রধান অঞ্চলে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জন্য একটি সহজলভ্য খাবার। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামসহ নানান পুষ্টিগুণ। কেন আমরা এত গুরুত্বের সঙ্গে খেজুর খাই? আমরা অনেকেই জানি মিষ্টি মধুর ফলটির গুণের কথা। আর যারা না জেনেই খেজুর খাই, তারা আজ জেনে নিন খেজুর খেলে কী কী উপকার হয়:
খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণে সহায়ক,
রোজায় আমাদের অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা হয়, যার কারণে দেহের প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজের দরকার হয়।
হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী
খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়
খেজুর স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে
খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী
ত্বক ভালো রাখে
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
রুচি বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খেজুরের আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
পক্ষঘাত ও সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর বেশ উপকারী
ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় প্রসব হতে সাহায্য করে, খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন প্রসারণ ঘটিয়ে সহায়তা। এছাড়াও খেজুর প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
যেকোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। সারাবছর পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফলটিকে রাখা যাতে পারে শুধু রমজান মাসের জন্য কেন?