কাঁচা হলুদের রস খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা হলুদের রস খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ে জানার জন্য আমাদে খবর পেজে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানায়। জিরা-পানি অনেক রোগের জন্য মহা ঔষধ।বহুল প্রচলিত আলসার,গ্যাসস্টিকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি। তাছাড়া রূপ চর্চায়ও খুব উপকারী।আজকে আমরা আলোচনা করব সঠিক নিয়ম মেনে কিভাবে গ্রিন-টি খাওয়া যায়।
কাঁচা-হলুদ খাওয়ার উপকারিতা
বাটাবাটির সুন্দর বর্ণনা কবিতায় থাকলেও আজকাল আর কেউ হলুদ বাটতে চায় না আবার হলুদ না বাটলেও তবে হলুদ খাওয়া কিন্তু থেমে নেই। আমরা ২ রকম ভাবে হলুদ ব্যবহার করি পাকা আর কাঁচা। পাকা’ হলুদ মানে খাওয়ার হলুদ, যা রান্নায় ব্যবহার করা হয়, আবার কাঁচা হলুদ গায়ে মাখা ছাড়া আর কীভাবে ব্যবহার করা যায়?
আমরা কাঁচা হলুদ কিন্তু চা বানিয়েও খেতে পারি। কিন্তু কেন? কারণ, কাঁচা হলুদের আছে অনেক উপকারিতা। কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৬, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। আরও থাকে কারকিউমিন, যা বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের বাঁচায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রমতে, হলুদ রক্ত শুদ্ধ করে। তাই জেনে নিই, কাঁচা হলুদের গুণাগুণ।
সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি উপকার হয়
# কাঁচা-হলুদ-ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। কাঁচা হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
# আমাদের হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয় কাঁচা হলুদ, যার ফলে সহজেই খাবার পরিপাক হতে সাহায্য করে।
# ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা হলুদে অনেক আয়রন থাকে। শরীরে আয়রনের স্বল্পতা দেখা দিলে কাঁচা হলুদে আয়রন বাড়াতেও সহায়তায় করে।
# ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন এলডিএল বা টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। আবার এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করা মানে হলো আমাদের শরীরে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো, যার সঙ্গে কমে স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
সকালের নাশতায় বাদাম না ডিম
# ক্যানসার প্রতিরোধে অবদান রাখতে পারে হলুদ চা। কারকিউমিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট একটি কার্যকর অ্যান্টিকার্সিনোজেন পদার্থ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
# আলসারেটিভ কোলাইটিস (ইউসি) একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের (জিআই ট্র্যাক্ট) নিচের অংশে আলসার সৃষ্টি করে আর ”কাঁচা হলুদ এই রোগ দানা বাঁধতে বাধা দেয়। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার বলছে, ’’ইউসি রোগীরা হলুদ খেলে তাঁদের এই রোগ আবার হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
হলুদ খাওয়ার অপকারিতা
# ব্যথা উপশমকারী অ্যাসপিরিন. ইন্ডোমেথাসিন. আইবুপ্রোফেন বা ”অ্যাসিটামিনোফেনের প্রভাব কমাতে পারে হলুদের ক্যাপসুল বা (হলুদের সাপ্লিমেন্ট)।
# যদি কেউ কেমোথেরাপি চিকিৎসা নিতে থাকেন. তাহলে কাঁচা হলুদের ’’ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট’’ গ্রহণ করার আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
# যাঁরা ওয়ারফারিন গ্রহণ করছেন. তাঁদের ক্ষেত্রে ’’হলুদ ক্যাপসুল’’ রক্ত পাতলা করে ঝুঁকি বাড়াতে পারে (হলুদের সাপ্লিমেন্ট)।
# ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ যাঁরা গ্রহণ করেন. যদি তাঁরা বেশি ’কারকিউমিন সেবন করেন. তবে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে অ্যালোভেরা
কাঁচা হলুদ ভালো কেন
# কাঁচা হলুদের সক্রিয় উপাদান হলো কারকিউমিন নামে একটি প্রাকৃতিক যৌগ (পলিফেনল), যার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ২ টি বৈশিষ্ট্যই আছে। এই প্রাকৃতিক যৌগ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে খাদ্যনালিকে সুরক্ষিত রাখে।
# অন্যান্য রঙিন উদ্ভিদভিত্তিক খাবারের মতো কাঁচা হলুদ ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ, যা বিনা মূল্যে র্যাডিক্যাল-নিরপেক্ষ (যথা দূষণ, সূর্যালোক) বা আমাদের কোষগুলোকে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
# কাঁচা হলুদ ক্যানসার ও হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
# খাবারে কিছু হলুদ ব্যবহার করলে দেহের অভ্যন্তরের প্রদাহ দূর হয়।
# কাঁচা হলুদ বাতব্যথা ও জয়েন্টে ব্যথা, কোলাইটিস, অ্যালার্জি ও সংক্রমণের মতো প্রদাহ ভালো করতে পারে।
কীভাবে বানাবেন কাঁচা হলুদ চা
আদার মতো করে হলুদের মূল দিয়ে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু চা বানানো যায়। জনস হপকিনস মেডিসিনের অনকোলজি বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ, মেরি-ইভ ব্রাউন কাঁচা হলুদের প্রস্তুত প্রণালি দিয়েছেন…
# ২ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের কাটা মূল বা দুই চা-চামচ হলুদগুঁড়া। এক/ দুই কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন।
# কম আঁচে পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করুন। তারপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। তার পর স্বাদ পরিবর্তন করতে চাইলে লেবু ও মধু যোগ করুন। ব্যস, হয়ে গেল কাঁচা হলুদের চা। এই চা আপনি গরম ও ঠান্ডা দুইভাবে পান করতে পারেন।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায়, কাঁচা হলুদের রস খাওয়ার উপকারিতা কি তা আপনার এই আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পূর্ণ বিষয়টি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
তথ্য:- হপকিনস মেডিসিন, মেডিকেল নিউজ টুডে ও মাই হার্ট বুক.
Pingback: গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় - amaderkhabar