কানাডায় বাড়ছে জনসংখ্যা…

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ। গতবছর দেশটির জনসংখ্যা ৩৮,৫১৬,১৩৮ থেকে বেড়ে ৩৯,৫৬৬,২৪৮ হয়েছে। প্রথমবারের মত কানাডায় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সরকার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতবছর দেশটিতে জনসংখ্যা ৩৮,৫১৬,১৩৮ হাজার ১৩৮ থেকে বেড়ে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি।

বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৫৭ সালের পর দেশটিতে বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এই বারই সর্বোচ্চ। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অভিবাসীদের অবদান প্রায় ৯৬ শতাংশ। দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছে স্ট্যাটিসটিকস কানাডা। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় সম্প্রতি কানাডা সরকার অন্য দেশ থেকে অধিক সংখ্যায় অভিবাসী গ্রহণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অবসরভোগীদের সহায়তা করতে কানাডা সরকারকে অভিবাসীদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। প্রচুর সংখ্যায় স্থায়ী ও অস্থায়ী অভিবাসীর দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে আবাসন, অবকাঠামো, পরিবহন এবং নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে চলছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অভিবাসীদের আকৃষ্ট করতে নানা প্রচেষ্টা করেছেন। গত বছর কানাডা সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ লাখ অভিবাসীকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ, আফগানিস্তানে সংকটে থাকা মানুষ, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদেরও স্বাগত জানাচ্ছে কানাডার সরকার। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেইনীয় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাময়িকভাবে পুনর্বাসনের প্রস্তাব রেখে যে প্রকল্প কানাডা সরকার ঘোষণা করেছিল সেটার মেয়াদও এ বছর জুলাই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি আবেদনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের আবেদন নিয়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি। এ উদ্যোগে এরই মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ কানাডায় পৌঁছেছেন। দেশটির বর্তমান অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৮২ জন।

কানাডার সরকার বলছে, গত বছর কানাডা প্রায় চার লাখ ৩৭ হাজার অভিবাসীকে স্বাগত জানিয়েছে। যদি বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার বজায় থাকে তবে ২৬ বছরে দেশটির জনসংখ্যা দ্বিগুণ হবে।