বান্দরবানে সেনা টহলে দুই সৈনিক নিহত
বান্দরবানে সেনা টহলে দুই সৈনিক নিহত
রুমা উপজেলার জারুলছড়িপাড়া এলাকায় কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির আইইডি বিস্ফোরণ এবং গুলির মধ্যে পড়ে সেনাবাহিনীর টহল দল। বলেছে আইএসপিআর।
সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর বান্দরবানের রুমায় পাহাড়ি দল কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় সেনাবাহিনীর ২ সৈনিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২ কর্মকর্তা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ১৭ মে, বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেএনএ-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর টহল দলটি মঙ্গলবার ওই এলাকায় রওনা হয়।
টহল দলটি মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ এবং অতর্কিত গুলিবর্ষণে মধ্যে পড়ে। এতে ২ জন অফিসার ও ২ জন সৈনিক আহত হয়। আহতদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সিএমএইচ চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সৈনিক ২ জনের মৃত্যু হয়। আহত ২ অফিসার চট্টগ্রাম সিএমএইচএ চিকিৎসাধীন। তবে হতাহতদের কারও নাম-পরিচয় আইএসপিআর এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়নি।
মহানবীকে (স.) নিয়ে কটূক্তি, কলেজছাত্রীর কারাদণ্ড
বলায়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনাসদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান।
পাহাড়িদের কাছে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি। গত অক্টোবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তখন থেকেই ধারাবাহিক অভিযানে বিভিন্ন সময়ে ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এবং ‘বম পার্টি’র অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
Pingback: কূটনীতিকদের নিরাপত্তা চূড়ান্ত হয়েছে: পররাষ্ট্রসচিব - Amader Khabar
Pingback: ইলিশা ২৯ তম গ্যাসক্ষেত্র - Amader Khabar