হানি নাট খাওয়ার উপকারিতা
দুটিই খাবারের (মধু ও বাদাম) পুষ্টিকর বলে একসঙ্গে খেলে উপকারিতা বেশি। তারুণ্য ধরে রাখে, স্মৃতিশক্তি ও কার্য দক্ষতা বৃদ্ধি, ইমিউনিটি সিস্টেম বুষ্টআপ, বী-র্য এর কোয়ালিটি বৃদ্ধি, ঘুমের সমস্যা দূর করে। হানি নাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে- কিডনি জটিলতা আছেন যারা, ডায়াবেটিস রোগী ও স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন যারা।
হানি নাট খাওয়ার উপকারিতা
হানিনাট বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ভীষণ পরিচিতি। যার নাম শুনেই বোঝা যায় এটি মূলত মধু আর বাদাম মিশ্রিত কোন খাবার। সাধারণ এ খাবার কেনইবা এ পরিচিতি পেল এ প্রশ্ন কমবেশি সবারই। তাই হানি নাট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনাও রয়েছে বিস্তর।
বিশেষ করে হানি নাটের বিক্রি ও আলোচনা বেড়ে যায় শীত আসলে। কিন্তু বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে হানি নাট খাবারের যেসব উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয় তা কি আদৌ সত্য?
হানি নাট খাওয়ার নিয়ম
দুটিই খাবারের (মধু ও বাদাম) পুষ্টিকর বলে একসঙ্গে খেলে উপকারিতা বেশি। আবার কিছু মানুষের জন্য এটি হতে পারে বড় বিপদের কারণ। বিশেষ করে ৩ শ্রেণীর লোকের জন্য হানি নাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে- কিডনি জটিলতা আছেন যারা, ডায়াবেটিস রোগী ও স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন যারা।
কাদের জন্য হানি নাট? সবাই খেতে পারবে এটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক…
হানিনাট এর উপকারিতা
খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। মধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুপযোগী খাবারের মধ্যে একটি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের হানি নাট খাওয়া নিষেধ। মধু খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে, কেননা মধুর মূল উপাদান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ।
ওজন বেশি থাকলে
স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন যাঁদের বেশি বা যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা হানি নাট খাবেন না। মধু সরল শর্করা ও মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি বলে মধু খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। হানি নাটে বাদামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে বলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়, তাই হানি নাট তাদের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: শীতেও মাঝেমধ্যে ঘরের সব জানালা খুলে দিন
হানি নাট এর উপকারিতা
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেতে নিষেধ করা হয়। আবার কিডনি রোগী হানি নাট খেলে বাদামের কারণে তার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে কিডনিজনিত জটিলতা শরীর চুলকানো, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরও বাড়বে।
সবার জন্য সব খাবার উপযোগী নয়, তাই হানি নাটও সবার জন্য উপযোগী নয়। হানি নাট বিক্রেতারা প্রচারণার সময় বলে থাকেন, এটি যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেবে। হানি নাটে এমন কোনো বিশেষ উপাদান নেই, যা আপনার যৌন দুর্বলতা দূর করবে।
যদি আপনার বিশেষ কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকে, তাহলে হানি নাট খেতে পারেন প্রতিদিন হালকা খাবার হিসেবে পরিমিত। অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে, তাই এটি খাওয়ার আগে এতে ব্যবহৃত মধুর গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
সূত্র:-ডেইলি মেইল.
Pingback: জাপানিদের খাবার পুষ্টিকর ও তৃপ্তিদায়ক - amaderkhabar
Pingback: সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা - amaderkhabar
👍👍👍👍
Thank U
Pingback: ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় - amaderkhabar