মুড সুইং কি কেন হয়
দেখা দিতে পারে মানসিক চাপ,অবসাদ, হতাশা, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, মাদক সেবন, মদ্যপান, ঘুমের সমস্যা, মেনোপজ, পেরিমেনোপজ ইত্যাদি থেকে। মন ভালো খারাপের রাস্তায় ঘুরপাক খাওয়া, এমনকি তা নিজেও বুঝতে না পারা। কিন্তু অনেকে তো আবার অনায়াসেই একে ‘নাটক’ বলে অভিহিত করে ফেলেন।তাই আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল মুড সুইং কি কেন হয় ।
মুড সুইং কি কেন হয়
মুহূর্তে ভালো তো পরমুহূর্তে হঠাৎই খারাপ হ্যাঁ, একেই বলা হয় ‘মুড সুইং সোজা বাংলায় মেজাজ পরিবর্তন। সাধারণত বেশির ভাগ নারী শিকার হন এই মুড সুইং-এর। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো আমরা অনেকে জানিই না আসলে এই ‘মুড সুইং’ কি? মন ভালো খারাপের রাস্তায় ঘুরপাক খাওয়া, এমনকি তা নিজেও বুঝতে না পারা। কিন্তু অনেকে তো আবার অনায়াসেই একে ‘নাটক’ বলে অভিহিত করে ফেলেন।
আমরা এর বিষয়টিকে খুব একটা আমলে নেই না বা মুড-সুইং’ নিয়ে আমাদের জ্ঞান একদমই কম। যার কারণে এর জন্য অনেক সময় অনেককে বুলিং এর শিকার হতে হয়। যিনি এর শিকার হয়েছেন তিনি আরো মানসিক অস্বস্তির দিকে ধাবিত হয়ে থাকেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে যা অভিশাপ হয়েও দাঁড়ায়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আশেপাশের লোকজন তাদের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে খারাপ আচরণ করে। বিনা কারণে আশেপাশের কোনো মেয়েকে হঠাৎই রেগে যেতে দেখলে, কান্না করতে দেখলে বা চিৎকার করতে দেখলে অনেকেই একে নাটক’ বলে হেসেই উড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
মেয়েদের মুড সুইং কেন হয়
আবার কেউ কেউ নাটক’ বলে অভিহিত না করলেও মুড-সুইং এর শিকার মেয়েদের সহজেই মানসিক অসুস্থ বলে আখ্যা দিয়ে দেন। এবং তাদের মানসিক সমস্যা গুরুতর হতে পারে। কারণ মুড সুইং’ এর সময় সে নিজেও বুঝতে পারে না তার কি চাই। পরে হয়তোবা তার মুড ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কিছু সময়ের জন্য যদি কেউ ওভার রিয়্যাক্ট করে ফেলে তাহলে নতুন করে তার মানসিক বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। কেউ কেউ মুড সুইং’ এর এই সময়টাতে আত্মহত্যার দিকেও ধাবিত হতে পারে।
মুড সুইং এর লক্ষণ
1. হঠাৎ মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
2 খিটখিটে মনোভাব ।
3 সামান্য কারণে রাগ উঠা ।
4 অতিরিক্ত সুখ বা দুঃখ বোধ তৈরি হওয়া।
5 উদ্বিগ্ন ভাব ।
6 অল্পতেই কান্না করা ।
7 অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা ।
8 পর্যায়ক্রমিক বিষাদ ও রাগ।
9 শরীরে ক্লান্ত ভাব আসা, ঘুমোতে অসুবিধা।
মুড সুইং কেন হয়
জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় নারীরা। বিভিন্ন পর্যায়ের মুড সুইং’ বেশি অনুভব করে থাকেন ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কারণে। যার প্রধান একটি কারণ বলা যায় পিরিয়ড। এই সময়টাতে অধিকাংশ নারীরা এই সময়টাতে মুড সুইং’ এর শিকার হয়।
অনেকের পিরিয়ড হওয়ার দুএক সপ্তাহ আগে থেকে আবেগের পরিবর্তন, খাবারের চাহিদায় পরিবর্তন, বমি বমি ভাব, দুর্বলভাব, মানসিক উদ্বেগ দেখা দিয়ে থাকে। এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় বলেই মানসিক অবস্থার এমন নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে পিরিয়ডের আগে। আবার বেশিরভাগ নারীর পিরিয়ড শেষ হওয়ার দু-একদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে এ সমস্যা দীর্ঘায়িত হয়। আবার অনেকে এর ফলে স্থায়ীভাবে মারাত্মক হতাশা, সব সময় মেজাজ খিটমিট করা, রাগারাগি করার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন ও তাদের মানসিক স্বস্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করে।আরও পড়ুন: স্মার্টফোন ফুটস্টেপ বা পদক্ষেপ মাপে ক
পিরিয়ডের সময় মুড সুইং
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর হরমোন উঠানামার প্রভাবে মুড সুইং এর শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূলত হরমোনের তারতম্যের কারণেই মুড সুইং এর সৃষ্টি হয়। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাস, কাজের চাপ, মানসিক চাপ-অশান্তি, বিশ্রাম ইত্যাদি কারনেও মুড সুইং হয়ে থাকে।
যদি কখনো দেখতে পান কোনো কারণ ছাড়া আপনার মা, বোন, বান্ধবী কেউ অদ্ভুত ব্যবহার করছে তার আচরণকে নাটক’ দিয়ে বলে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। মেজাজের এমন এক নাটকীয়তা যা কারো জীবনে যেকোনো সময় অভিশাপ হয়েও আসতে পারে।
Good
Thanks
Pingback: অনুপ্রবেশকারীদের দিকে কুকুর কেন ঘেউ ঘেউ করে - amaderkhabar
Good 👍 👍 👍
Thank U.